শনিবার, ২ নভেম্বর, ২০২৪

ঝাল মরিচ

ঝাল মরিচ


 
আমাদের লিটু ভাই,
বড় সম্মানী, তাই
যা কিছু বলেন তিনি
চুপচাপ শুনে যাই।

কিন্তু আকস্মাৎ,
সেদিন সন্ধ্যারাত,
বিতর্ক শুরু হলো
খেতে খেতে ডাল ভাত। 

লিটু ভাই বলে, "শুন,
মরিচের শত গুণ।
খাবারের স্বাদ আসলে
ঝালে, আর লাল ঝোলে।"

তাঁর আজগুবি দাবি-
"ঝাল খেলে বল পাবি,
কচকচিয়ে চাবাবি,
পাতে নিয়ে ডলে খাবি,
আহা! হা হা! কাতরাবি,
তবেই না মজা পাবি!
করিস কী শঙ্কা?
কামড়া, নে লঙ্কা।"
দু মুঠো মরিচ দিয়ে,
বললেন আচমকা।



করলাম প্রতিবাদ,
“রাখো তুমি মিছে বাত”।
বললাম, "সব স্বাদ
ঝালে হয় বরবাদ।
রান্নায় দিলে ঝাল,
তুমি ভালো "কুক্" না।
ঝাল কোনো সুখ না!
বেশি বেশি ঝাল খেলে
জ্বলে কার বুক না?
সাদাসিধা খেয়ে লোকে
আরামে বাঁচুক না।"

কে শোনে হে কথা কার,
রেগে, দিয়ে চিৎকার,
বলে, "পাতে গোটা চার
মরিচ থাকুক না,
কাঁচা কি-বা শুঁকনা;
লাল লাল গুঁড়ো দিয়ে
মাছটা ভাজুক না।
লিখে রাখ মজা পাবি,
আমি মিথ্যুক না।"


ভাবি, আমি কে বলার
সে নেবে তার পাতে কী?
গ্যাস্ট্রিক, আলসার
বাঁধিয়ে বসুক না।
আমারই বা তাতে কী?

তর্ক এড়িয়ে যাই,
আর কথা না বাড়াই,
বিতর্ক করে যাব
কেন তাকে রাগাতে?

আমাদের ঝাল খাওয়ার
উৎসাহ জাগাতে,
সেই সাথে বীরবেশে
প্রশংসা বাগাতে,
তখুনি মরিচ নিয়ে
জিহবার আগা -তে,
কামড় বসিয়ে দিলো
বোম্বাই, নাগা -তে।

মিনিট দশেক পরে,
উঠে পেট চেপে ধরে,
ধাবিতো হলো সজোরে,
লিটু ভাই সাজঘরে।


তারিক মোঃ নাসিম
১১/০১/২০২৪ ইং