বৃষ্টি-ভেজা ASU -- খুবই বিরল দৃশ্য।
"arid zone" Arizona-তে বৃষ্টির দেখা পাওয়া যায় কালেভদ্রে।
বৃষ্টি দেখলে দৌড়ে ঘর থেকে বের হয়ে গিয়ে বৃষ্টিতে ভিজতে মন চায়।
"ওগো, আজ তোরা যাসনে ঘরের বাইরে" -- কবিগুরুর সাথে আমার এইখানে কিছুটা মতানৈক্য।
(অবশ্য ছোটবেলায় স্কুলে যাওয়ার সময় বৃষ্টি নামলে কবিগুরুর এই বাণী অক্ষরে অক্ষরে পালন করার চেষ্টা করতাম ... হাজার হোক কবিগুরু তিনি, মাঝে মাঝে তো অন্তত গুরুর কথার গুরুত্ব দেয়া লাগে।)
গত পরশুদিন ঘুম থেকে উঠে বাইরে বৃষ্টি দেখে দ্রুত ঘর বের হয়ে গেলাম। সেদিন সারাদিনই বৃষ্টি হয়েছে, গুঁড়ি-গুঁড়ি; বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ সৃষ্টি হলে দেশে যেমন হয়। মেঘলা আকাশ, ভেজা রাস্তা, এইসব দেখে বাংলাদেশের সমস্ত বাদল দিনের স্মৃতি একসাথে হানা দেয় মনে, চোখের কোনায় দুই এক ফোঁটা পানি জমে -- বৃষ্টির পানিই হবে হয়তো।
মনে পড়ে যায় ১০-১১ বছর আগে এক দিনের কথা। সেদিন SUST ক্যাম্পাসে প্রচণ্ড বৃষ্টিতে অনেকক্ষণ ভিজেছিলাম - সাথে ছিল "কবি-রাজ" Farhad। (কবি-রাজ খেতাবটা আমারই দেয়া অবশ্য)। এই ক্যাম্পাসে কবি-রাজ এর মতো সেইরকম ভাবের-ঘোরে আচ্ছন্ন ভবঘুরে সঙ্গী পাওয়া যায় না। এইখানকার মানুষ রোবটের মতো - এরা শখ করে বৃষ্টিতে ভিজে না, 'শর্ট-সার্কিট' হয়ে যাবে এই ভয়েই সম্ভবত। এইখানেও ক্যাম্পাসের আশেপাশে পাহাড়ের অভাব নাই, কিন্তু এই ক্যাম্পাসে কাওসার, Salak, Tareq নাই যাদেরকে নিয়ে ক্যাম্পাসের আশেপাশের সমস্ত পাহাড়ি এলাকা, রাস্তাঘাট যখন-তখন হেঁটে-হেঁটে চষে বেড়ানো যায়...।
'আঁসু' ভেজা চোখে ভেজা ASU দেখলাম বেশ কিছুক্ষণ ঘুরে ঘুরে।
দেশের অভ্যাস মতো কিছুক্ষণ পরপর পিছন ফিরে দেখছিলাম প্যান্টের পিছন-টায় কাদা লাগলো কি-না -- দেখা গেল পরিষ্কারই আছে। এখানে বৃষ্টিভেজা রাস্তায় হাঁটা দেশের তুলনায় আরামদায়ক, প্যাঁক-কাদা নাই। রাস্তাঘাট একদম ঝকঝকে।
প্যাঁক-কাদাহীন, এমন মসৃণ রাস্তায় পথচলা এতো কষ্টকর হবে সেটা তো আগে বুঝতে পারি নাই।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন