৫ টা বছর সময় এরিজোনার টেম্পি শহরে বসবাসের পর সেখান থেকে অরিগন এর পোর্টল্যান্ড এ মুভ করতে বেশ কষ্ট হয়েছে। মানসিকভাবে আমি সম্ভবত: এখনও পুরাপুরি মুভ করতে পারি নাই। মন পড়ে থাকে টেম্পি'র কাঠফাটা পিচগলা পথে, গ্যাস-ষ্টেশনে। কিছুদিন পরপর বিভিন্ন ছুতায় ফিরে ফিরে যাই অতি প্রিয় কিছু মানুষের টানে, প্রিয় টেম্পি শহরের টানে। পুরাতন মানুষজনের পাশাপাশি প্রতিবার পরিচয় হয় কিছু নতুন নতুন মানুষের সাথে, আর তাঁদের একেক জনের গুণের বহর দেখে আমি আশ্চর্য হই।
এমনই কোনো এক টেম্পি সফরে কোনো এক গভীর রাতের আড্ডায় দুইজন গুণী মানুষের সুপ্ত প্রতিভার পরিচয় পাই। সেবার টেম্পি থেকে ফেরার পথে বিমানে বসে তাঁদের স্মরণে লেখা এই কবিতা।
***
বিমান গগণে সবে মেলিয়াছে পাখা,
নিভায়েছে বাতি তার তুলিয়াছে চাকা,
বাঁধনে জড়ায়ে সিটে তশরীফ রাখা।
বাহিরে চাহিয়া দেখি টেম্পির হাতছানি,
স্মরণে আসিলো এক শায়ের, আল-"আহসানী",
তার সাথে কতিপয় কৌতুক "হাসানী"।
কাতুকুতু দিলো রস আদি, সর্বনাশী!
বদন কাঁপায়ে এলো বেদমক হাসি।
যতোই চাপিতে চাই,
ততোই বাড়িয়া যায়।
যাত্রীরা আঁড়চোখে দেখে ডানে বামে,
তথাপি সে হাসি মোর মোটে নাহি থামে।
হেনকালে এলো কাছে বিমানের বালা,
বালা নন, তিনি যেন জাদরেল খালা,
কষ্টে-সৃষ্টে দিনু হাসি-মুখে তালা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন