যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষা'র জন্য আবেদনের ক্ষেত্রে যেসব বিষয় জরুরী, তার মধ্যে GRE, TOEFL, SoP, LoR এবং Professor-দের ইমেইল করা এইগুলা সবচেয়ে অগ্রণী। আমি এই পোস্টে এইগুলা নিয়েই নিজের অভিজ্ঞতা থেকে কিছুটা ধারণা দেয়ার চেষ্টা করলাম।
GRE
যুক্তরাষ্ট্রে'র অধিকাংশ ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্র্যাজুয়েট লেভেলের প্রোগ্রামে (মাস্টার্স/ পিএইচডি-তে) ভর্তি'র জন্য GRE দেয়াটা জরুরী। এটাকে কেউ একটা অতিরিক্ত ঝামেলা হিসেবে গণ্য করেন, আবার কেউ কেউ এটা-কেই একটা সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেন।
যাদের undergrad-এ (এবং মাস্টার্স করা থাকলে সেখানেও) ভালো CGPA এবং/অথবা ভালো কিছু পাবলিকেশন আছে, তাঁদের জন্য GRE'র স্কোর-টা মূলত একটা ভর্তি'র যোগ্যতা পূরণ করা, সেক্ষেত্রে, বিশ্ববিদ্যালয় যে ন্যূনতম স্কোর নির্ধারণ করে দিয়েছে, সেটা পেলেই চলে। এছাড়া তাঁরা চেষ্টা করলে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া অন্যান্য দেশেও ভালো ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারেন (GRE না দিয়েই)। কিন্তু যাদের ভালো রেজাল্ট কিংবা পাবলিকেশন নাই, তাঁদের জন্য GRE-তে উঁচু স্কোর পেয়ে নিজের দক্ষতা প্রমাণের একটা সুযোগ রয়েছে। (শুধু যুক্ত্ররাষ্ট্রই নয়, আরও কিছু দেশের ভালো ভালো বিশ্ববিদ্যালয় GRE'র স্কোর -এর মূল্যায়ন করে থাকে।) GRE'র স্কোর এর উপর ভিত্তি করে যুক্তরাষ্ট্রে'র কোন্ সারির বিশ্ববিদ্যালয়-গুলাতে আবেদন করা যাবে সেটা'রও একটা পরিকল্পনা করা যায়। তাই GRE দেয়াটাকে যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষা'র পথে প্রথম ধাপ হিসেবে গণ্য করা যায়।
GRE’র প্রস্তুতি নিয়ে এইখানে কিছু কথাবার্তা লিখেছিলাম। ওইটা দেখলে ভালো হয়। এইখানে আর আলাদাভাবে লিখলাম না।
TOEFL
টোফেল এর স্কোর-টা বেশ গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় টোফেল এর স্কোরের উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেয় কোন একজন ছাত্রকে Teaching Assistant-ship দিবে কি দিবে না। অনেক বিশ্বিবিদ্যালয়ে আবেদন করার ন্যুনতম যোগ্যতার মধ্যেও টোফেলের একটা নির্দিষ্ট স্কোর উল্লেখ করা থাকে।
টোফেল যেহেতু পুরাপুরি-ই ইংরেজি ভাষার উপর দক্ষতা যাচাই করার পরীক্ষা, সেহেতু, ইংরেজি-তে যে যতো ভালো তার জন্য এইটাতে ভালো করার সুযোগ ততো বেশি। একটা ভাষায় রাতারাতি দক্ষ হয়ে উঠা কঠিন। তবে, TOEFL -জাতীয় এইসব পরীক্ষার সুবিধা হচ্ছে, এরা সবসময় একটা নির্দিষ্ট ফরম্যাটেই পরীক্ষা নিবে। তাই পরীক্ষা'র ফরম্যাট-টা খুব ভালো ভাবে জানলে এবং সেই অনুযায়ী কিছুদিন অনুশীলন করলে এই পরীক্ষায় বেশ ভালো করা সম্ভব। Format জানার জন্য NoteFull -এর ভিডিও গুলা দেখাই যথেষ্ট বলে আমি মনে করি।
এছাড়া ETS* এর লোকজনের দ্বারা নির্মিত একটা কোর্স edX -এ আছে যাতে এই পরীক্ষা'র ফরম্যাট নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
GRE'র প্রস্তুতি নেয়ার পর টোফেলের Reading & Writing -নিয়ে তেমন দুশ্চিন্তার কারণ নাই। আর হলিউডের সিনেমা এবং TVSeries -দেখার অভ্যাস থাকলে, Listening -এও তেমন দুশ্চিন্তার কারণ নাই। তবে ভালো হয়, অনলাইনে নিয়মিত জটিল জটিল বিষয়ের উপর কিছু Radio-প্রোগ্রাম অথবা Podcast -শুনতে পারলে। আর TOEFL TPO নামে একটা Mock Test software পাওয়া যায়। ওইটা কারও কাছ থেকে জোগাড় করে কিছু Mock Test দিতে পারলে ভালো হয়।
TOEFL -এর সবচেয়ে কঠিন অংশ হলো Speaking। এই অংশে ভাল করতে হলে কঠিন অনুশীলন দরকার (যদি না ইংরেজিতে আগে থেকেই নিয়মিত কথাবার্তা বলার অভ্যাস থাকে)। বন্ধু/ফ্যামিলি মেম্বারদের কারও সাথে কয়েকদিন নিয়মিত কথা বলার ব্যাবস্থা করতে পারলে ভালো হয়। আর ৪৫/৬০ সেকেন্ডের মধ্যে নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর নিজের ইংরেজিতে বলা কথাবার্তা রেকর্ড করে শুনলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।
* GRE এবং TOEFL উভয় পরীক্ষাই Educational Testing Service (ETS)-নামক একটা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে থাকে।
TOEFL না দিয়ে IELTS ও দেয়া যায়। সেটাও যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলা ইংরেজি-তে দক্ষতার দলিল হিসেবে গ্রহণ করে। IELTS -সম্পর্কে Facebook-এর HSA-BD group-এ (Files সেকশনে) বেশ কিছু ভালো ভালো লেখা আছে, সেগুলা দেখা যেতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় / প্রফেসর খোঁজা
GRE এবং TOEFL দেয়ার পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল নিজের এযাবৎ অর্জিত শিক্ষাগত যোগ্যতা + GRE-score + TOEFL-score এসবের উপর ভিত্তি করে কোন্ কোন্ বিশ্বিবদ্যালয়ে আবেদন করলে ভালো হবে তার একটা ছোটখাটো লিস্ট তৈরি করা। কিন্তু এই ছোটখাটো লিস্ট-টা বানানোর আগে একটা বড় লিস্ট বানাতে হবে যেখানে সম্ভাব্য সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের
Website address
ভর্তি'র requirements,
আবেদনের নিয়মাবলী,
ভর্তি'র আবেদন ফী,
হার্ড কপি ট্রান্সক্রিপ্ট পাঠাতে হবে কিনা,
আন্তর্জাতিক কোন প্রতিষ্ঠানে'র মাধ্যমে ট্রান্সক্রিপ্ট evaluate করাতে হবে কিনা,
faculty list page এবং
সেখানকার পছন্দসই faculty-দের বর্ণনা
-এইসব থাকবে।
ফ্যাকাল্টি-দের বর্ণনা বলতে
তাঁদের নাম
তাঁদের ল্যাবের/রিসার্চ গ্রুপের ওয়েব এড্রেস,
তাঁরা কী-কী বিষয় নিয়ে কাজ করেন,
তাঁরা তাঁদের ল্যাবে সামনের সেশনে ছাত্র নিবেন এমন কোন ঘোষণা দিয়ে থাকলে সেটা’র আদ্যোপান্ত,
তাঁরা মেইল দিতে নিষেধ করে রেখেছেন কিনা; কিংবা আগে আবেদন করে তারপর মেইল দিতে বলেছেন কিনা,
তাঁদেরকে মেইল কোনো নির্দিষ্ট ফরম্যাটে দিতে হবে এমন কথা কোথাও লিখে রেখেছেন-কিনা,
তাঁদেরকে মেইল দেয়ার পর মেইলে'র জবাব পেয়ে থাকলে সেটা এবং এর ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ কী নেয়া দরকার
-এইসব।
এই কাজটা পুরাটাই করতে হবে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে’র ওয়েবসাইট ঘেঁটে ঘেঁটে। এছাড়া ওইসব বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিচিত কেউ থাকলে তাঁদের কাছ থেকে পাওয়া খোঁজখবরের ভিত্তিতেও কিছু তথ্য এই লিস্টে সংযোজন করা যায়। আর HSA-গ্রুপে পূর্ববর্তী বছরের Acceptance List-গুলা দেখলে একটা সাধারণ ধারণা পাওয়া যাবে কোন্ ধরণের প্রোফাইলের ছাত্র কোন্ মানের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি'র সুযোগ পায়।
আমি এই লিস্ট-টা বানিয়েছিলাম। এরকম একটা লিস্ট US News & World Report - এর র্যাঙ্কিং থেকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম দেখে ওগুলার ওয়েবসাইটে গিয়ে প্রফেসরদের প্রোফাইল ঘেঁটে বানাতে হবে। বেশ পরিশ্রম সাধ্য কাজ।
প্রফেসরদের মেইলের জবাব পাওয়া / না-পাওয়া'র উপর ভিত্তি করে এই বড় লিস্ট থেকে ১০-১৫ -টা বিশ্ববিদ্যালয়ে'র একটা ছোট লিস্ট বানাতে হবে এবং সেগুলাতে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। নিজের প্রোফাইল অনুযায়ী কিছু সামনে'র সারির, কিছু মাঝে'র সারি'র এবং কিছু পিছনে'র সারি'র বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করা উচিত।
তবে এসব করার আগে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো GRE'র জন্য প্রস্তুতি নেয়া। সেটা শেষ হলে তারপর এই 'গবেষনা' শুরু করলে ভালো হয়।
অবশ্য যদি নিজের প্রোফাইল ভালো হয় (সিজিপিএ উঁচু, কিছু পাবলিকেশন আছে এইরকম হলে) জি আর ই দেয়ার আগেই প্রফেসরদেরকে নক করা যায়। মূলকথা প্রফেসরদেরকে নক করে নিজের সম্পর্কে কিছু বলার থাকতে হবে। মেইল করে যদি শুধু বলি "আপনার কাজ আমার খুব ভাল্লাগছে, আমারে আপনার ল্যাবে নেন", তাহলেই তিনি খুশিতে গদগদ হয়ে আমাকে নিয়ে নিবেন এমন-টা হওয়ার কথা না।
Statement of Purpose
SOP -এমন ভাবে লিখা উচিত যেন নিজের গবেষণা করার আগ্রহ তাতে ফুটে উঠে, (নির্দিষ্ট কোনো একটা/দুইটা বিষয়ে আগ্রহ দেখানো-টা ভালো) এবং সেই বিষয়ে গবেষণা করার ক্ষেত্রে আবেদনকারী'র প্রাতিষ্ঠানিকভাবে অর্জিত কিংবা ব্যাক্তিগত-ভাবে অর্জিত শিক্ষাগত দক্ষতা, পূর্ব-অভিজ্ঞতা, Extra curricular activities, কিংবা অন্যান্য গুণাবলী কীভাবে পরিকল্পিত গবেষণা-কর্মে সহায়তা করবে সেটাও যদ্দুর সম্ভব উল্লেখ করা দরকার। এছাড়া আমি কেন গবেষণামূলক কাজ করতে চাই - আমার ভবিষ্যত পরিকল্পনা কী - এইটাও অল্প কথায় বুঝিয়ে দিতে পারলে ভালো হয়। আর দুনিয়াতে এতো বিশ্ববিদ্যালয় থাকা সত্বেও ঠিক এই বিশ্ববিদ্যালয়েই আমি কেন আবেদন করছি সেটাও লিখা উচিত অল্প কথায়।
আমি প্রতিটা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আলাদা আলাদা SOP বানিয়েছিলাম। তবে সবগুলাই প্রায় একই - শুধুমাত্র শেষের প্যারাগ্রাফ-টা প্রতিটা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আলাদা আলাদা-ভাবে লিখেছিলাম।
SOP Writing Tips:
Resume/CV লিখা
অনেক প্রফেসর CV/Resume দেখতে চান। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের সময়ও একটা Resume upload-করার ব্যাবস্থা থাকে। অতএব নিজের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ কর্মবৃত্তান্ত-সহ এক-দুই পাতা'র একটা Resume লিখে ফেলা দরকার (এর চেয়ে লম্বা না হলেই ভালো)। খুব বিস্তারিত লিখার দরকার নাই। এছাড়া Academic Resume-তে নিজের বংশপরিচয়, ফটোগ্রাফ এইসব দিয়ে Resume-কে Bio-Data বানিয়ে ফেলারও কোন মানে হয় না। Resume-তে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাবে নিজের গবেষণা কর্ম (যদি কিছু থাকে), কিংবা আকাঙ্ক্ষিত গবেষণার বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত নিজের আগের কোন প্রোজেক্ট/চাকরি'র অভিজ্ঞতা এইসব।
Emailing Professors
SOP -এর মতো ইমেইলেরও নিজস্ব একটা ফরম্যাট বানিয়ে ফেলতে হবে। তবে একজন নির্দিষ্ট প্রফেসরকে ইমেইল পাঠানোর পূর্বে, তাঁর গবেষণা সম্পর্কে বেশ ভালোভাবে জেনে নেয়া উচিত -এবং সে অনুযায়ী মূল ইমেইল ফরম্যাট-টাতে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করে নেয়া উচিত। ইমেইল পাঠানোর পূর্বে অবশ্যই প্রফেসর-কে ঠিক নামে সম্বোধন করা হচ্ছে কি-না, কাঙ্ক্ষিত প্রফেসরের ইমেইল-এড্রেসেই মেইল পাঠানো হচ্ছে কি-না সেটা নিশ্চিত করে নেয়া দরকার। (আমি একজন প্রফেসরকে একবার ভুল নামে সম্বোধন করে মেইল করে ফেলেছিলাম, পরে অবশ্য সাথে সাথেই আবার একটা মেইল দিয়ে ভুল সংশোধন করেছি) যুক্তরাষ্ট্রের প্রফেসরদেরকে বাংলাদেশ সময় রাত ৯-টা থেকে ১০ টা এর মধ্যে মেইল করা উচিত। যে বছরের Fall session -আবেদন করতে ইচ্ছুক, তার আগের বছরের সেপ্টেম্বর অক্টোবর থেকে প্রফেসরদেরকে নক করা শুরু করলে ভালো হয়। একবার মেইল করে জবাব না পেলে, কিছুদিন পর দ্বিতীয়বার মেইল করা যায়। তবে এর বেশি মেইল না করাই ভালো।
Some Email Writing Tips:
- Advice for Prospective Research Students
- Points to keep in mind before sending an email
- Advice for Postgraduate/PhD Students - by Reza Haffari, Monash U
Collecting (Writing!) LORs
রিকো আসলে নিজেকেই লিখতে হবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে। স্যারদের আসলে এতো সময় নাই যে তোমার জন্য তিনি নিজেই উদ্যোগী হয়ে পুরা রিকো লিখে দিবেন (যদি না তুমি বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল্ড-মেডালিস্ট/অনন্যসাধারণ কোন ছাত্র হয়ে থাকো)। তবে স্যারদের নির্দিষ্ট কিছু রিকো ফরম্যাট করা থাকে অনেক সময়। যেমন, আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক আমাকে রিকো স্যাম্পল দিয়েছিলেন, আমি সেইটার আদলে নিজের জন্য একটা লিখে উনাকে পাঠিয়েছিলাম।
তিনজন শিক্ষকের কাছ থেকে পাওয়া তিনটা রিকো সম্পূর্ণ আলাদা হতে হবে -- রচনাভঙ্গি, ছাত্রের গুণাবলী'র বর্ণনা -এইসব। এক-এক জন শিক্ষক এক এক বিষয়ে তোমার গুণগাণ গাইবেন - কেউ বলবেন এই ছেলে প্রোগ্রামিং-এ তুখোড়, কেউ বলবেন - এই ছাত্র এক্স-ট্রা কারিকুলামে ভালো এবং খুবই কর্মঠ, আবার আরেকজন বলবেন - এই ছাত্র খুবই মেধাবী, ক্লাসে খুবই রেসপন্সিভ -- ইত্যাদি।
Some Reco-writing Tips:
নির্দিষ্ট সময়ে আবেদন সম্পন্ন করা
প্রতিটা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদনের নির্দিষ্ট সময়সীমা থাকে। সেই সময়ের মধ্যে আবেদন করা উচিত। পারলে তারও আগে আবেদন করে ফেলা উচিত। অনেক বিশ্ববিদ্যালয় আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে আবেদন যাচাই করা শুরু করে দেয় (Deadline -এর আগেই)।
আবেদন অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ই অনলাইনে নিয়ে থাকে। কিছু বিশ্ববিদ্যালয় শুধু একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট-এর হার্ড কপি চায়। সেটা আবেদনের সময়সীমা'র মধ্যে যাতে পৌঁছায়, সেজন্য বেশ কিছুদিন সময় হাতে রেখে পাঠানো উচিত। বাংলাদেশ থেকে ডাক বিভাগের EMS service -টা এই জন্য ব্যাবহার করা যায় -- বেশ সস্তা -- তবে দশ পনের দিন সময় লাগতে পারে পৌঁছাতে। এছাড়া, Desh Courier, DHL -এইসব তো আছেই।
Fall Semester -এ ভর্তি'র জন্য অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় আগের বছরের ডিসেম্বরে কিংবা সে বছরের জানুয়ারি'র মধ্যে আবেদন প্রক্রিয়া শেষ করে ফেলতে বলে। কিছু কিছু বিশ্বিবিদ্যালয় আরও পরে আবেদন নেয় (মে মাস পর্যন্ত-ও আবেদন নিতে দেখেছি কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে)।
যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যলয়গুলাতে আবেদন প্রক্রিয়ার এই প্রতিটা বিষয়েই ফেসবুকে'র HigherStudyAbroad Group -এ অনেক রিসোর্স পাওয়া যাবে (ফাইল সেকশনে)। এছাড়া কোন একটা বিষয়ে সমস্যায় পড়লে/কিছু জানার থাকলে ওই গ্রুপে পোস্ট দিলে কেউ না কেউ সাহায্য করবে বলে আশা রাখা যায়।
(এই লেখায় কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বাদ গিয়ে থাকলে কমেন্টে উল্লেখ করলে ভাল হয়)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন