কনা সফটওয়ার ল্যাবের সুদিন এসেছে।
সেকালে শুধু দুইবেলা দুই-দান টেবিল টেনিস খেলার আশায় সারাদিন অফিসে গতর খাটতে যেতাম আমরা।
আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন অনেক খেলোয়াড় থাকলেও আমাদের ছিল না কোন আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ব্যাট, বল, এবং সর্বোপরি কোন য্যুতসই টেবিল। ব্যাটের চামড়া না থাকা-টা অবশ্য তেমন মারাত্মক কোন বিষয় না — ( সেটা এখন বুঝি ) উন্নত দেশের উন্নত বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ-টাকা খরচ করা জিম-এ ও টিটি খেলতে গেলে দুইটা ছাল-ছাড়া ‘প্যাডেল’ ধরিয়ে দেয়। আর বল নিয়েও কনা সফটওয়্যারের পোলাপানের তেমন কোন অভিযোগ ছিল বলে মনে পড়ে না …। তাদের খেলার প্রতি ভালোবাসা এতোই প্রবল যে সম্ভব হলে নিজের প্যান্টের ছেঁড়া পকেটে হাত ঢুকিয়ে বল বের করে সেটা দিয়েই খেলা শুরু করে দিতে চায়। আর নেট এর কাজ টেবিলের মাঝখানে টিস্যু বাক্স পেতে রেখে ভালই চালানো যায় … বল আটকানো দিয়ে কথা…।
কিন্তু টেবিল ছাড়া খেলা হবে কীভাবে?
তাতে কী, “কে এস এল”-এর ছেলেপেলে তো থেমে থাকার পাত্র না।
এর পরের ঘটনা শুধুই ইতিহাস…
কনা সফটওয়্যার এর ছেলেপেলেদের “দুটি ‘টি’ টেবিল জোড়া লাগিয়ে ‘টি-টি’ টেবিল” বানানোর ঘটনা সেসময়ের “কনামাধ্যমে” মুখ্য সংবাদ হিসেবে প্রচারিত হয়েছিল।
যাই হোক, শুনলাম, কনা সফ্টওয়ারের অফিসে অ-স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ এবং আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন টি টি টেবিল এসেছে … সেই সাথে এসেছে কোনপ্রকার ‘ভেজাল’বিহীন জাল (Net)।
“কনা এস এল” এ টি টি টেবিল এর আগমনে পৃথিবীর কোনায় কোনায় ছড়িয়ে থাকা প্রাক্তন কর্মীদের ঠোঁটের কোনায় এক চিলতে হাসি এবং চোখের কোনায় এক ফোটা পানি আসলেও আসতে পারে।
………...................................
আমি খেয়াল করে দেখেছি পৃথিবীতে অনেক মানুষ আছেন যারা ঠাট্টা-কৌতুক বোঝেন না…। তাঁদের উদ্দেশ্যে নিচের কথাগুলা লেখাঃ
এই লেখা কনা পরিবারের প্রতি আমার অকৃত্রিম ভালোবাসা থেকে লিখা। এবং এটা একটা রম্য লেখা (আপনি হয়তো ব্যাপারটা খেয়াল না_ও করে থাকতে পারেন)।
কনা সফ্ট্ওয়্যার ল্যাব বাংলাদেশের সবচেয়ে পরিশ্রমী সফ্ট্ওয়্যার কোম্পানি’র একটা। আমার লেখায় অনিচ্ছাসত্ত্বেও কোনভাবে কনা সফ্ট্ওয়্যারের প্রতি কোন প্রকার নেতিবাচক তথ্য প্রকাশ পেয়ে থাকলে আমি ক্ষমাপ্রার্থী।
(এই লেখা ফেসবুক পোস্ট করা হয়েছিলো)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন