ক্লাস সেভেনের ঘটনা সম্ভবত।
বিকালে খেলার মাঠে এক বড় ভাই একটা দুষ্টু কৌতুক বলেছিলেন। তেমন ভালো মানের কৌতুক না। কিন্তু ওই সময় কেন যেন সেটা আমার বেশ ভালো লাগলো, এবং আমার ‘কচি’ মনে সেইটা গেঁথে গেলো বেশ ভালোভাবেই। জীবনে এর আগে যত কৌতুক শুনেছি সব কয়েকদিনের জন্য মুছে গেলো মেমোরি থেকে। সারাক্ষণই সেই একই কৌতুক মাথায় ঘুরে বেড়াচ্ছে, আর আমি থেকে থেকে দমকে দমকে হেসে উঠছি একা একাই।
এদিকে সম্প্রতি কিছু কৌতুক বলে ক্লাসেও হালকা জনপ্রিয়তা পেয়েছি আমি। ক্লাসে আনন্দ-ফুর্তি’র কোনো উপলক্ষ্য এলেই প্রথম দুই-চার জনের মধ্যে আমার কৌতুক বলার প্রস্তাব আসতো (মাঝে মাঝে নিজেও আগ বাড়িয়ে কিছু বলতাম)। একদিন কোনো এক স্যার / ম্যাডাম এর অনুপস্থিতিতে রিপ্লেসমেন্ট ক্লাস নিতে এলেন তৃপ্তি ম্যাডাম। ম্যাডামের সেদিন মন বেশ ফুরফুরা। বললেন, আমরা আজকে কোনো পড়াশুনা করবো না। তোমাদের মধ্যে কেউ এসে গান গাও, বা গল্প বলো।
সেদিন আমার পাশে বসা কেউ একজন বলে উঠলো, ম্যাডাম নাসিম খুব ভালো কৌতুক বলে। ম্যাডাম আমাকে বললেন সামনে এসে কিছু একটা বলতে। আমার মাথায় তখনও আগেরদিনের শোনা সেই কৌতুক ঘুরছে, যেটা ক্লাসে বলার মতো না। আমি বললাম ম্যাডাম আজকে কিছু মনে আসছে না। কিন্তু ম্যাডাম জোরাজুরি করতে লাগলেন। ক্লাসে আরও কিছু পোলাপাইনও বলতে শুরু করলো, আরে যা, এতো ভাব নিচ্ছিস ক্যান।
যাই হোক, অনেকক্ষণ ইতস্তত করার পর সামনে গেলাম। অলরেডি আমি ঘেমে গিয়েছি, পা-ও হালকা কাঁপছে। ম্যাডাম সাহস দিলেন, “বলো, এতো লজ্জা পাচ্ছ কেন?”
আমি আগেরদিন শোনা সেই কৌতুকটা বলা শুরু করলাম। প্রথম লাইন বলার সাথে সাথেই তৃপ্তি ম্যাডাম আমাকে থামিয়ে দিয়ে বললেন, “আচ্ছা থাক … আর বলতে হবে না, গিয়ে বসো”।
প্রথম লাইন-টা ছিলঃ “এক লোক বাজার থেকে একটা আন্ডারওয়্যার কিনে আনলো … “।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন